img

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।

এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থানে থেকে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেন কর্মী-সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি ও সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও কার্যালয়ে ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।

সমাবেশে নেতারা জানান, নির্যাতন করে আন্দোলন দমাতে পারবে না সরকার। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। সেই সঙ্গে কঠোর আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের ঘোষণাও দেয়া হয় সমাবেশে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বোমা নাটক দেখেছি। তবে ভালো দিকটা হলো তাদের আসল উন্মুক্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে আন্তর্জাতিকভাবে তারা উন্মোচিত হয়েছে।

সমাবেশের প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতাদেরকে গ্রেফতার করে সরকার মনে করেছিলো ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ তারা ব্যর্থ করে দেবে। তারা সেটি করতে পারেনি। এই সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। স্বৈরাচারী সরকারকে পতন ঘটানোর জন্য আপনারা রাজপথে প্রস্তুত থাকুন।

এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে আসেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) চেয়ারম্যান সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে।

কর্নেল অলি আহমদ (অব.) বলেন, আমাদের সবার আলোচনার মাধ্যমে ১০ দফা রচিত হয়েছে। এই সরকারের পতন না হওয়া আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা বর্তমান সরকারকে এর আগে বলেছিলাম সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নেন, দেশ থেকে পলাইয়ে যান কিন্তু এখন সেটার সুযোগ নেই।

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে সমমনা সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলেও জানান জোটের নেতারা।

এই বিভাগের আরও খবর