img

ঘন কুয়াশার মধ্যে যমুনা নদীতে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী-এনায়েতপুর নৌরুটে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন দুই নৌকার যাত্রী।

রোববার সকাল পৌনে ৮টায় এনায়েতপুর স্পার বাঁধ এলাকা থেকে চৌহালী উপজেলা সদরের উদ্দেশে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে সিকদারের নৌকা রওনা হয়।

ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরে আবার পূর্বের স্থানেই ফিরে আসে ইঞ্জিনচালিত এ শ্যালো নৌকাটি।

পরে পুনরায় নৌকা ছাড়লে কিছুদূর যাওয়ার পর সন্তোষা নৌকাঘাট থেকে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ১১ যাত্রীবাহী নৌকাটি কুয়াশার মধ্যে নদীতে ঘুরতে থাকে।

হঠাৎ করে সিকদারের নৌকা ওই ১১ যাত্রীবাহী নৌকার ওপর উঠে পড়ে।

এ সময় নৌকার মাঝি নদীতে পড়ে যায়। অন্য যাত্রীরা সরে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে মাঝি সাঁতরে নৌকায় ওঠে। কিন্তু উভয় নৌকার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নৌকার যাত্রী ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা আছড়ে পড়লেও সৌভাগ্যক্রমে সব যাত্রীই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কুয়াশার সময় ঝুঁকি নেওয়া ঠিক না। আরও সতর্ক অবস্থায় নৌকা চলাচল না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চৌহালীর ঘোরজানচরের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশায় এমনিতেই নৌকা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ, এর মধ্যে কিছু অদক্ষ চালক নৌকার মাঝি হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।  এতে জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হয়।

এ বিষয়ে কয়েকটি নৌকার মাঝি বলেন, এনায়েতপুর-চৌহালী নৌরুটে প্রতি বছরই কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যমুনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিবছর ভাঙন ও নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় দিক নির্ণয় কষ্টকর হয়ে পড়ে। যে কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হয়।

এ বিষয়ে চৌহালী থানার ওসি হারুন আর রশিদ ও এনায়েতপুর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, যমুনা নদীর এই গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটকে নিরাপদ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ও তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া থানা ও নৌপুলিশের নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। তবে কুয়াশার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণকারী ও চালকদের আরও সচেতন হওয়ার নির্দেশনা দেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর