img

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময়ই সতর্ক। সেদিন (মায়ের কান্না সংগঠনের দেখা করার দিন) তার যাতায়াতের তথ্য সরকার জানতো না। এ রকম আগে ঘটেনি।

তারা অবগত করেই যাতায়াত করেন। কূটনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অন্যতম। ’

 

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি’র ষষ্ঠ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হেফজতে ইসলামের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম যেসব দাবি দাওয়া তুলে ধরেছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিকতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সেসব দাবি বিবেচনা করবেন। ’ 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এগুলো থেকে যাতে তারা বিরত থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এটা নিরুৎসাহিত করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। শুধু কন্ট্রোল রুমের কাজ বাকি আছে। ’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনার বেহাল দশা ছিল। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পে ও ক্যাম্পের বাইরে মাদক চোরা কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে। ’ 

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভাসান চরে ভালো মানের হাসপাতাল নির্মাণ ও সমৃদ্ধ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে তারা যেন কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে পারে, সে জন্য ছোট ছোট লেক করে দেওয়া হয়েছে। ’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা মাঝিদের কয়েকজনের হত্যার দৃশ্য দেখেছি। এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’

এই বিভাগের আরও খবর