img

ফুটবল বিশ্বকাপকে বলা হয় ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বিশ্ব সেরার মুকুট তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান খেলোয়াড়রা। তবে অনেক খ্যাতিমান তারকাও বিশ্বকাপের স্বাদ নিতে পারেনি। এই তালিকায় রয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, লেভানডস্কি, গেরাথ বেলসহ বহু অসংখ্যক খ্যাতি সম্পন্ন খেলোয়াড়।

 

প্রত্যেক খেলোয়াড়ের বড় স্বপ্ন ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করা। তবে বাঘা বাঘা খেলোয়াড়দেরও এই স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। তবে এমনও অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা কি না বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ না খেলে অর্থাৎ সাইড বেঞ্চে থেকেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে ১০১ ভাগ্যবান। এই ১০১ জনের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ গোলকিপার, ৩২ ডিফেন্ডার, ১৮ মিডফিল্ডার ও ১৮ স্ট্রাইকার।

বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না খেলেও শিরোপা হাতে নেওয়ার তালিকায় রয়েছে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে থাকলেও একটি ম্যাচও খেলেননি তিনি। সেইবার বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়েছিল ব্রাজিল।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে স্পেনের দলে ছিলেন গোলকিপার পেপে রেইনা ও ভিক্টর ভ্লাডস। তবে ইকার ক্যাসিয়াসের নৈপুণ্যে সাইড বেঞ্চেই জায়গা হয় এই দুই গোলকিপারের। এ ছাড়া ডিফেন্ডার রাহুল আলবিওলও দলে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সেই বছরেই প্রথমবারের মতো কাপ জিতেছিল স্পেন।

ইতালির সাবেক গোলকিপার গুইডো মাসেত্তি। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালির বিশ্বকাপ দলে ছিলেন রোমার হয়ে খেলা এই গোলকিপার। তবে দুই বিশ্বকাপে সাইড বেঞ্চেই কাটাতে হয় তাঁকে। তবে না খেলেও দুবার বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় হন মাসেত্তি।

মাসেত্তির মতো একই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের কিংবদন্তি কার্লোস হোসে কাস্টিলহোর সঙ্গে। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালেও বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এই দলে ছিলেন ব্রাজিলের এই খেলোয়াড়। তবে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি।

কার্লোস হোসে কাস্টিলহোর মতো একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ব্রাজিলের আরেক খেলোয়াড় জোস মারচিয়া। ৫৮-৬২ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি।

এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফাইনালে উঠার আগ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি খেলিয়েছেন ২৪ খেলোয়াড়কে। অন্যদিকে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম খেলিয়েছেন ২৬ খেলোয়াড়কে।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দলে রয়েছেন জেরোনিমো রুলি। তবে কোনো ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়নি তার। একই অবস্থায় রয়েছে ফ্রান্সের আলফোনসো আরিওলা ও করিম বেনজেমার। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ অর্থাৎ ফাইনাল না খেলতে পারলে ও শিরোপা জিতলে ফ্রান্স কিংবা আর্জেন্টিনার এই খেলোয়াড়রাও এক মিনিটও না খেলে বিশ্বকাপ জেতার তালিকায় চলে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর