img

মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেটে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রোববার সকালে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইলচেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের একার কাজ না। বিশ্ব মোড়লদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।

তবে সেক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে।

 

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ২০২২ সালের অক্টোবরের ডেটা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস, যাদের বেশির ভাগ আসে রাখাইনে ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের পর।

বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে ফেরাতে কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা ব্যর্থ হয় বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশকে বলেছি কিছু লোক নিয়ে যান। সে কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে, তবে আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফেরত যাবে।

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য একটা অভিশাপ। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যসীমার হার ৩ শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে। ’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

এই বিভাগের আরও খবর