img

বীমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীমা নিয়ন্ত্রক আইডিআরএ ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয় সভায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় আইডিআরএ-বিএসইসির মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা হলেও গতকালের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সভায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, বীমা নিয়ন্ত্রক আইডিআরএ, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক এমআরএ, যৌথ মূলধনি কোম্পানিগুলোর নিবন্ধক সংস্থা আরজেএসসি, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক বিটিআরসি ও সমবায় অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমন্বয় সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং, হুন্ডি ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় মোবাইল অপব্যবহারকারীর তথ্য সঠিকভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যায় না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের ডাটাবেজ সিআইবির (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) মতো করে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ডাটাবেজ করার কথা বলা হয়েছে। সভায় বিটিআরসি জানায়, কোনো সংস্থা তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর কোম্পানির  কাছ থেকে নিয়ে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে পাঁচটি সেলফোন অপারেটর কোম্পানি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে সভায় জানানো হয়েছে।

এসকে সুর চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বাজারে টাকার প্রবাহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বীমা, সমবায় সমিতি, এনজিওর তথ্যও থাকা দরকার। এজন্য ‘আদার্স ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন’ (ওএফসি) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর