খেলা শেষ, বিএনপির নেতাকর্মীরা দুঃখ নিয়ে বাড়ি গেছে : হানিফ
ওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশ। ১০ ডিসেম্বর কী স্বপ্ন দেখেছিল আর কী দেখল। বিএনপি নেতাকর্মীরা মনের দুঃখে বাড়ি গেছে। বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীদিনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিকল্পনা নেয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের আর রাজপথে টেনে আনতে পারবে না। তারা বুঝতে পেরেছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের বলির পাঠা বানাচ্ছে, ধোঁকাবাজির রাজনীতি করেছে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশ প্রমাণ করেছে বিএনপি একটা মিথ্যাবাদী, ভাঁওতাবাজির দল। এতোদিন জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করেছে এখন দলের নেতাকর্মীদের সাথে করছে। মহাসমাবেশ হলে বেগম খালেদা জিয়া জনসভায় বক্তব্য দিবেন নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনেছে। ১০ তারিখের পর নাকি দেশ খালেদা জিয়ার কথায় চলবে। এই মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঢাকায় এনেছিল। এখন কী? কোথায় খালেদা জিয়া? এতিমের টাকা আত্মসাত করায় আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে কারাগারে। বঙ্গবন্ধুকন্যার দয়ায় বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতীয় সংসদের সাড়ে ৩০০ জন সদস্যের মধ্যে সাতজনের পদত্যাগে সংসদের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, সমাবেশ থেকে বিএনপির ৭ জন এমপি পদত্যাগ করলেন। মিডিয়ায় বড় খবর নিয়ে এলেন। বিএনপি নেতারা বিরাট কিছু হবে এই আশা দিয়ে নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনেছেন। যখন দেখলেন কিছুই হলো না, তখন লজ্জায় নেতাকর্মীদের মনোবল টিকিয়ে রাখতে পদত্যাগ করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপির ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই। মানুষ কার ওপর আস্থা রাখবে। বিএনপির নেতা কে? তাদের মূল নেতা নাকি তারেক রহমান! যে তারেক একাধিক হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে বিদেশে পলাতক। উনি কি রাজনীতি করেছেন কখনও। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে হাওয়া ভবন বানিয়ে দুর্নীতি করেছেন, কমিশন বাণিজ্য করেছেন। আর এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সেজন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।